একটা ভুল, একটুখানি লজ্জা আর সমাজের কটূ কথা এসবের মাঝখানে নিঃশেষ হয়ে গেলো শিলা। শিলার আত্মহত্যা কি শুধুই অপমানের ভার? নাকি কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? পরপর দুই মেয়ে নিখোঁজ, চেয়ারম্যানের খুন, আর এক অভিশপ্ত ইতিহাস সব মিলিয়ে গ্রাম জড়িয়ে পড়ে অন্ধকার এক রহস্যে। সত্য উদঘাটনের পথ কি আরও ভয়ংকর? নাকি সত্যই সবচেয়ে বড় আতঙ্ক?
এই উপন্যাসে উঠে এসেছে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনের অনুরণন এবং তাদের উপর নেমে আসা এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের বোন শিলা, অবিবাহিত অবস্থায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সমাজের চোখ রাঙানি এবং কুৎসা থেকে বাঁচতে পরিবার প্রথমে খবরটি গোপন রাখে। কিন্তু এমন সত্যি বেশিদিন চাপা থাকেনি। বাতাসের মতো ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে। শুরু হয় ফিসফিসানি, কটূ কথা, অপমান।
এই অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণার ভার আর বহন করতে না পেরে এক রাতে শিলা চিরবিদায়ের পথ বেছে নেয়।
কিন্তু এখানেই কি শেষ? গল্প মোড় নেয় এক অজানা রহস্যের দিকে।
শিলার মৃত্যুর কিছুদিন পর, হঠাৎ করেই গ্রাম থেকে এক মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয়, এর ঠিক দুই বছর আগেও একইভাবে নিখোঁজ হয়েছিল আরেকজন।
তবে এলাকাবাসী মনে করে এগুলো ভুতের কাজ। কারন শোনা যায় প্রায় দুইশত বছর আগে ঐ গ্রামে একটা হিন্দু বাড়ি ছিলো। গ্রামের লোকেরা তাদের অন্যায়ভাবে তাড়িয়ে দেয় ও তাদের এক কিশোরী মেয়েকে গ্রামের যুবকরা ধর্ষন করে মেরে ফেলে। সেই থেকে ঐ গ্রামে ভুতে ঘোরাঘুরি করে। কেউ কেউ ভুতের আলামত টের পেয়েছে। অনেকে না-কি দেখেছে।
এসব কারা করছে? সত্যি কি গ্রামে ভুত বলে কিছু আছে? গল্পের প্রধান চরিত্র যখন এসব ধাঁধার মুখোমুখি তখন এলাকার চেয়ারম্যান মর্মান্তিকভাবে খুন হয়। তারপর তদন্তে নামে একদল পুলিশ। বেরিয়ে আসে একেকটা চাঞ্চল্যকর তথ্য। উঠে আসে গ্রামের মেয়েগুলো গায়েব হয়ে যাওয়ার রহস্য। শিলার গর্ভবতী হওয়ার পিছনের গল্প। আসলে কি হয়েছিলো ঐ গ্রামে? শিলার পরিবারের উপর দিয়ে কেনো বা কি কারনে ঝড় বয়ে গিয়েছিলো?
জন্ম ৪ জানুয়ারি ২০০১, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি ছিল গভীর আকর্ষণ। শিক্ষা জীবন শুরু কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজে, পরবর্তীতে অধ্যয়ন করেন বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।
২০২১ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস “আড়াল” পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরবর্তী উপন্যাস “নরকের প্রহরী”-তেও উঠে এসেছে থ্রিল, বাস্তবতা ও আবেগের অনন্য সংমিশ্রণ।
লেখালেখির পাশাপাশি রয়েছেন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা। প্রতিটি গল্পে উঠে আসে সমাজ, সম্পর্ক ও মানসিক টানাপোড়েনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি।
“আড়াল” উপন্যাসটি হাই-রেজোলিউশন PDF ফরম্যাটে পাওয়া যাবে। যা আপনি মোবাইল, ট্যাব কিংবা কম্পিউটারে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে পড়তে পারবেন। একবার ক্রয় করলেই পাবেন আজীবন আনলিমিটেড ডাউনলোডের সুবিধা।