তিন বন্ধুর রহস্যজনক খুন, ঐশীর আত্মহত্যা, এসআই নাজিমের নির্মম মৃত্যু সব মিলিয়ে রাজধানী কাঁপানো এক কেসের জালে জড়িয়ে পড়ে এসআই তুরাব। তখন সত্যের খোঁজই হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ! কী আছে এই খুনের রহস্যের অন্তরালে?
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় একসাথে তিন বন্ধু খুন হওয়ার ঘটনায় সারাদেশের ছাত্রসমাজ উত্তাল। অভিযোগ ওঠে পুলিশ এই কেসে ধীরগতিতে এগুচ্ছে এবং সবকিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা যথারীতি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর ভিকটিমের একজন রাকিবের প্রেমিকার আত্মহত্যা। এ ঘটনার পরিপেক্ষিতে পুলিশের এসআই নাজিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ ওঠে ঐশীর ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিলো। এমন সূত্রে ঐশীর বাবা-মা এসআই নাজিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার তিনদিন পর নাজিম রাতে কাঁচাবাজার শেষে বাসায় ফেরার পথে খুন হন।
তিন খুন ও এসআই নাজিম খুন কী একই সূত্রে গাঁথা! তাহলে নাজিম কি যথেষ্ট প্রমাণ জোগার করতে পেরেছিলেন! হয়তো এমন কিছু ছিল যেটা তাকে খুনীর কাছে নিয়ে যেতে পারতো। এসবের পিছনে কোনো ব্যক্তি না-কি গ্রুপ জড়িত!
এই কেসের সমস্ত ভার এসে পরে থানায় সদ্য যুক্ত হওয়া এসআই তুরাবের ওপর। সহযোগী হিসেবে তার সাথে যুক্ত হন ডিটেকটিভ জুনায়েদ।
তারা কেসের ঝট খোলার জন্য এসআই নাজিমের গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী শিরিনার সাথে দেখা করতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা শিরিনাকে বটগাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত আবিষ্কার করেন। এটা হত্যা না-কি আত্মহত্যা এই রহস্য সমাধানের পথে জুনায়েদ হঠাৎ গায়েব। এসব কে বা কারা করছে?
তুরাব কেসের যতো গভীরে যায় জন্ম নেয় এক একটি অন্ধকার ধাঁধাঁ ও প্রাণনাশের হুমকি। তুরাবকে ডার্ক সাইড থেকে বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি বার্তা ছিলো, খুনিকে নয় সত্যকে খুঁজো।
সত্যটা কি তাহলে?
শেষ পর্যন্ত তুরাব এতোকিছুর উজান বেয়ে রহস্যের কুলে কি নৌকা ভিড়াতে পারবে?
জন্ম ৪ জানুয়ারি ২০০১, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি ছিল গভীর আকর্ষণ। শিক্ষা জীবন শুরু কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজে, পরবর্তীতে অধ্যয়ন করেন বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।
২০২১ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস “আড়াল” পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরবর্তী উপন্যাস “নরকের প্রহরী”-তেও উঠে এসেছে থ্রিল, বাস্তবতা ও আবেগের অনন্য সংমিশ্রণ।
লেখালেখির পাশাপাশি রয়েছেন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা। প্রতিটি গল্পে উঠে আসে সমাজ, সম্পর্ক ও মানসিক টানাপোড়েনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি।
“নরকের প্রহরী” উপন্যাসটি হাই-রেজোলিউশন PDF ফরম্যাটে পাওয়া যাবে। যা আপনি মোবাইল, ট্যাব কিংবা কম্পিউটারে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে পড়তে পারবেন। একবার ক্রয় করলেই পাবেন আজীবন আনলিমিটেড ডাউনলোডের সুবিধা।